What to do on vacation or holidays? ছুটির দিনের পরামর্শ

 ছুটির দিনের পরামর্শ

 

 

 

ছুটির দিনের পরামর্শঃ (প্রধানত কোডিং রিলেটেড লোকজনের জন্য) - Article by Foyzul Karim

 

এটা যদি আপনার সত্যিকারের ছুটির দিন হয়, অর্থাৎ খালি খাওয়া আর ঘুম বরাদ্দ থাকে সারাদিনের জন্য, তাহলে আপনার জন্য সুসংবাদ। ১ বছর পরেও আপনার স্যালারী একই থাকবে (বরং কমতেও পারে), এবং আপনি খুব শীঘ্র ছুটির দিন ছাড়াও সাপ্তাহিক দিনেও সারাদিন খাওয়া ও ঘুমানোর সুযোগ পাবেন (চাকরীর ঝামেলা থাকবে না, টাকা পয়সার ঝামেলা থাকবে না। খালি শান্তি আর শান্তি)। নীচের অংশটুকু পড়ার দরকার নাই আপনার। ঘুমাইতে যান। 🙂


আর আপনি যদি চান, নিজেকে আরেকটু ভালো অবস্থানে নিতে, লাইফ টা আরেকটু সহজ করে চালাতে, তাহলে আপনাকে নিজের জন্যই সময় বের করতে হবে (এক্সিউজ দিয়ে লাভ নাই, এসব নিয়েই বাচতে হবে), এবং নিজের স্কিল বাড়ানোর জন্য চাকরী সময়ের বাইরে আলাদাভাবে চাকরির চাইতেও বেশী সিরিয়াস ভাবে কাজ করতে হবে। এটা মানছেন? তাহলে নিচের অংশ পড়ুন। না মানলে নিচের অংশ পড়ার দরকার নাই।
🙂

নিজের স্কিল ডেভেলপ করা যায় কিভাবে? উত্তর টা খুব সোজা। আপনার জব এক্সপেরিয়েন্স অনুযায়ী নিজের পরবর্তি টার্গেট টেকনোলোজি ঠিক করুন। তারপর সেগুলোকে brute-force attack করুন। মানে, চলতে, ফিরতে, ঘুম থেকে উঠে, ঘুমানোর সময়, গল্প করতে করতে, যেখানেই ৫/১০ মিনিট সময় পাবেন, পড়ুন। কনসেপ্ট টা ক্লিয়ার করুন। এই কন্সেপ্ট ক্লিয়ার করা কিন্তু কখনোই আয়েশ করে, টেবিল চেয়ারে বসে, পিসির সামনে বসে হবে না। এই ভুল টাই বেশীরভাগ মানুষ করে। ভাবে, বাসায় গিয়ে, 'ফ্রেশ' হয়ে, চা নাস্তা খেয়ে, হাল্কা গল্পগুজব করে তারপর পড়তে বসবো। আপনার পড়ার অভ্যাস টা করতে হবে চলা ফেরার মধ্যে, চা খাওয়ার সাথে, গল্প করার ফাঁকেফাঁকে।

করতে চান না এরকম? অফ কোর্স এটা আপনার ডিসিশন, আপনি আপনার লাইফ নিয়ে কি করবেন। নিচের অংশটুকু পড়ার দরকার নাই তাইলে, ফিল ফ্রি টু এঞ্জয়  🙂

যখন মনে হবে কন্সেপ্ট মোটামুটী ক্লিয়ার, তখন কোন একটা ছুটির দিনে কাজে বসে যেতে হবে। আগের রাতেই, বা সপ্তাহ জুড়ে প্ল্যান করে রাখতে হবে এই ছুটির দিনটিতে কি করবো, মানে কি কি কোড করবো। তখন আর পড়াশুনার টাইম নাই। সরাসরি কাজ।

মনে রাখতে হবে, টাইপ করা সোজা, কিন্তু কি টাইপ করতে হবে সেটা ক্লিয়ারলি বুঝে টাইপ করা প্রচন্ড কঠিন। এই কঠিন অংশটিই আপনাকে সারা সপ্তাহ জুড়ে মাথায় চিন্তা করতে হবে। চিন্তা করার জন্য পিসি লাগে না, বাসে দাঁড়িয়ে থেকেও চিন্তা করা যায় (যারা এক্সিউজ দিতে অভ্যস্ত, এটা তাদের জন্য একটা লাঠির বাড়ি হিসেবে কাজ করবে)।

শুরু করা যেতে পারে একটা 'হেলো ওয়ার্ল্ড' দিয়ে। প্রত্যেক টেকনোলোজি-ই তাদের হোমপেজে এই হেলো ওয়ার্ল্ড এর টিউটোরিয়াল দিয়ে রাখে। এটা করার পর কি করবেন? 

তারপর সেই টেকনোলোজি দিয়ে একটা ফুল প্রজেক্ট করতে হবে। আবার বলছি, কমপ্লিট প্রজেক্ট। একেবারে বেচা বিক্রি করা যায় সেরকম প্রজেক্ট। এই প্রজেক্ট করতে গিয়ে যেখানে যেখানে আটকিয়ে যাবেন, সেগুলো নিয়ে আবার পড়াশুনা। এই পড়াশুনা হবে আগের মতই, চলাফেরার মধ্যে। এটা ক্লিয়ার হয়ে গেলে আবার কাজ। এই কাজ হবে পিসির সামনে (ছুটির দিনে অথবা প্রতি রাতে)।

এভাবে আপনার জ্ঞান ও স্কিল একইসাথে বাড়তে থাকবে। এভাবে ১ বছর (হ্যা ভাই, ১ বছর। একটা কমপ্লিট প্রজেক্ট ফ্রি সময় শিখে, তারপর কোড করে, কিভাবে আপনি ৩ মাসে করতে পারবেন আমার জানা নাই 🙂 )  চালাতে পারলে, সেই কমপ্লিট প্রজেক্ট টা যদি ইন্টারভিউ এর সময় দেখাতে পারেন, তাহলে ইন শা আল্লাহ্‌ অবশ্যই অবশ্যই ইন্টারভিউ বোর্ডে আপনার জব এক্সপেরিয়েন্স এর স্যালারি স্কেল এর চাইতে আপনি বেশী চাইতে পারবেন, এবং ভালো কোম্পানি গুলো আপনাকে বেশী টাকা দিয়েও লুফে নিবে।

কারণ? মার্কেটে টাইপিস্ট অনেক আছে, ভালো কাজ জানা লোকজন কম। আর নিজে নিজে শিখে কাজ করা লোকজন হাতে গোনা। আপনি সেই হাতে গোনা কয়েকশ লোকের একজন হতে পেরেছেন ১ বছর এর পরিশ্রমে।  কনগ্র্যাটস 


Post a Comment

0 Comments